স্বর্গের দ্বীপ সেইন্টমার্টিনে একদিন !!!

 সেইন্টমার্টিন যাকে আমরা নারিকেল জিঞ্জিরা বলেও চিনে থাকি। এই দ্বীপে নারিকেল গাছের সমাহার থাকায় একে নারিকেল জিঞ্জিরা বলা হয়। তাই বলে ভেবে নিবেন না যে এখানে গিয়ে মনের সুখে কম দামে শুধু ডাবের পানি খাবেন। আমার মতে এই দ্বীপের নাম হওয়া উচিত ছিলো স্বর্গদ্বীপ । পৃথিবীর বুকে এ যেনো এক স্বর্গের প্রশান্তির জায়গা। আল্লাহ তায়ালার এক অপূর্ব সৃষ্টি এই মায়াভরা দ্বীপ।

দ্বীপ সংলগ্ন বিচের দৃশ্য
এখানে আপনি যতবারই যাবেন এর সৌন্দর্য আপনাকে প্রতিবারই মুগ্ধ কওরে তুলবে। যাত্রার শুরু থেকে যদি বলি সে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে চলে যাবেন টেকনাফ(ভাড়া ৯০০ টাকা নন-এসি বাসে)। এরপরে সেখানে থেকে জাহাজে করে রওয়ানা হবেন সেই মায়াদ্বীপের উদ্দেশ্যে (জাহাজ ভাড়া ৬০০-১০০০ টাকা হয়ে থাকে)। জাহাজের যাত্রা শুরু করে আপনাকে কিছুটা পথ নাফ নদী হয়ে যেতে হবে। এখানে থেকে শুরু হলো মূল রোমাঞ্চ। দেখা পেয়ে যাবেন শত শত গাংচিলের।

গাংচিলের সমাহার
এই গাংচিল গুলোকে চাইলেই চিপ্স খাওয়াতে পারেন । সেই দৃশ্য আর মনোমুগ্ধকর। কিছু পথ পাড়ি দিতেই জাহাজ যেয়ে পৌঁছাবে সমুদ্রে। সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে চলে যাচ্ছে জাহাজ সামনের দিকে। পাশে আপনি মায়ানমার এর সীমানা দেখতে পাবেন। ৩ ঘন্টার জাহাজ যাত্রা শেষ করে অবশেষে আপনি এসে পড়েছেন এখন কাঙ্ক্ষিত সেই মায়াভরা দ্বীপে। আগেই বলে রাখি সেইন্টমার্টিনের মূল আকর্ষণ হচ্ছে এর রাত্রিযাপনে। আর যদি তা হয় পূর্ণিমা ভরা রাতে তাহলে তো কথাই নেই। জোছনামাখা রাতে বিচে বসে থাকা এবং সাথে গীটারের সূরে মোহ মোহ গান আপনার সকল ক্লান্তি, দুঃখ মুছে দিবে নিমিষে। 

সমুদ্রের বুকে সূর্যাস্ত 

আপনার জীবনের এক সুন্দরময় ভ্রমণ হয়ে থাকবে এই যাত্রা। 

পকেটে মোটামুটি ৪৫০০-৫০০০ টাকা নিয়ে গেলে খুব আরামেই ঘুরে আসা যায়।

পরিশেষে, মায়াদ্বীপে আবর্জনা ফেলে এর মায়া এবং সৌন্দর্য কোনোটাই নষ্ট করবো না। আমাদের সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই।

হ্যাপি ট্রাভেলিং। 

Post a Comment

0 Comments